পদতলে চমকায় মাটি | উপন্যাস | সুহান রিজওয়ান


একবিংশ শতাব্দীর ঘুণে ধরা কিছু যুবক। 
ইতিহাসের ক্রমাগত ট্যাকেলের বিপরীতে খেলে যাওয়া তরুণ এক ফুটবলার। 
ক্ষ্যাপাটে এক ফুটবল কোচ। 
একটি পাহাড়ঘেরা জনপদ, পরাবাস্তবের চেয়ে নাটকীয়তায় পূর্ণ তার ইতিহাস এবং বর্তমান। 
উপন্যাস ‘পদতলে চমকায় মাটি’, ধরতে চেয়েছে এই চতুষ্কোণ। 

গুডরিডসে বইটির কয়েকটি রিভিউ-এর কিছু অংশ। 

"তাহলে এই উপন্যাসের ভেতর কী আছে? প্রথম লাইন থেকেই আছে প্রবলরকম একটা অস্বস্তি।কমফোর্ট জোনেরবাইরে গিয়ে রঙিন চশমাটা খুলে ফেলে অন্য একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।
প্রথম বই হিসেবে সাক্ষী ছিল শিরোস্ত্রাণ কেমন পাঠকপ্রিয়তা হয়েছে, সেটা বলার বোধ হয় অপেক্ষা রাখে না। তবে দ্বিতীয় বইতে আমরা আবিষ্কার করি অন্য এক লেখককে। প্রেক্ষাপটের কারণে এই উপন্যাসে আবেগের তারে টোকা দেওয়ার কাজটা ঠিক সহজ নয়। 

পদতলে চমকায় মাটি পড়তে পড়তে আরও একটা খুব সুন্দর ব্যাপার মনে হল। সুহান ভাই আসলে উপন্যাসের ছলে ইতিহাসের সাথে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতে চান না, উনি শুধু পাঠকের মনে জানার একটু আগ্রহ উস্কে দিতে চান। বাকিটা পাঠক যতটুকু ইচ্ছা নিজ দায়িত্বে জেনে নিবে।

পড়া শেষ করে তাই অদ্ভুত এক বোধে আচ্ছন্ন হতে হয়। সেটা যে কী আসলে, তা বুঝে উঠতে পারি না। নিজেকে হঠাত করে রূপকথার গল্পের সেই ন্যাংটো রাজার মত মনে হয়, তখন কেমন ভয়ার্ত চোখে আমি সেই ঠোঁটকাটা শিশুটিকে খুঁজি, যে আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিবে আমার দীনতা। খুঁজতে গিয়ে চোখ পড়ে আমার হাতে ধরা বইটির ওপরে। 

“I couldn’t read পদতলে চমকায় মাটি at one go. It was traumatic. I felt small. I felt ashamed. I felt fury. I felt helpless. I also understood the roots of the problem run deep.” 

উপন্যাসে লেখক খুব শক্তিশালী স্পষ্ট কোনো বার্তা দিতে চান নি। বরং আমাদের দৈনিক জীবনেই আমরা যে দ্বৈততার মুখোমুখি হই, ভালো-খারাপের মধ্যে যে টানাপোড়ন চলে, তার মধ্যেও আবার যে আমরা কখনো কখনো সাহসী হয়ে উঠি, আবার পলায়নপ্রবৃত্ত হয়ে মুখ লুকাই, সবই আছে। 

চলমান বাস্তবতার চমৎকার বর্ণনা!পাহাড়ের অধিবাসীদের না জানা ইতিহাস!ঢাকার রাস্তাঘাটের শৈল্পিক চিত্রায়ণ! কাহিনীর ধারা বিবরণীর মাঝে আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা নূর হোসেনের চলে আসা! অসম্ভব সুন্দর শব্দ-চয়ন! অসাধারণ!” 

এখন ইবুক আকারে পাওয়া যাচ্ছে। 
লিংকঃ 



Comments